বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী
মোর্শেদ আহমেদ বাবুর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে
প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী নুরুল ইসলাম দানু। এঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়ে
উঠেছে ১২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারেরা। সাধারণ ভোটারদের
দাবী, কাজী মোর্শেদ আহমেদ বাবুর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে
অপপ্রচারের মত নিকৃষ্ট কাজকে বেছে নিয়েছে প্রতিদ্ব›দ্বী
প্রার্থী। আমরা এর ধিক্কার জানায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রাত আটটার দিকে কাউন্সিলর
প্রার্থী নুরুল ইসলাম দানুর একজন কর্মীকে মারধর করার মিথ্যা
গুজব ছড়িয়ে হঠাৎ কলাতলী সড়কে বাবুর বিরুদ্ধে বিশ্রি ভাষায়
¯েøাগান দিয়ে মিছিল করে। এক পর্যায়ে তারা মাইকিং করেও
অপপ্রচার চালায়। বিষয়টি কাউন্সিলর প্রার্থী বাবুর নজরে আসার পর
রাত সাড়ে ১০ টায় তাৎক্ষণিকভাবে কলাতলীর ডলফিন চত্বরে প্রতিবাদ
সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা মিথ্যা গুজব ছড়ানো ও
অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।
বক্তারা বলেন, প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী দানু ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছে
বাবুর বিজয়ী সুনিশ্চিত। বাবুর জনপ্রিয়তা ও সাধারণ ভোটারদের
সমর্থন কোনভাবে ঠেকাতে না পেরে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে।
তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তার (দানুর) কর্মীকে মারধর করার
অভিযোগ তুলে মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছে। আমরা বলতে চায়, বাবু
সুখ-দুঃখে সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। তাই নির্বাচনে
দাঁড়িয়ে সাধারণ ভোটারদের অকুণ্ঠ ভালবাসা ও সমর্থন পেয়েছে।
এটা কোন ষড়যন্ত্র করে দমানো যাবে না।
প্রতিবাদ সভায় কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী মোর্শেদ আহমেদ বাবু
বলেন, আমার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে।
একারণে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে গিয়ে যখনই দেখা হয়, তার
(দানু) সাথে সুন্দর ব্যবহার ও আপ্যায়ন করি। কিন্তু সেই মানুষ আজআমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে। এটি খুবই
দুঃখজনক। আগামী ২৫ জুলাই জনগণ ভোটের মাধ্যমে এই অপপ্রচার
এবং ষড়যন্ত্রের জবাব দিবে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সৈকতপাড়া বহুমুখী সমবায় সমিতির
সভাপতি ছালামত উল্লাহ বাবুল, সৈকতপাড়া সমাজ কমিটির
সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, হাজী অলি আহমেদ, পৌর
আওয়ামী লীগ নেতা ও লাইটহাউজ পাড়া সমাজ সেবক শাহেদ আলী
শাহেদ, সমাজসেবক রাসেদুল ইসলাম ডালিম প্রমুখ।
কায়েস নামে যে যুবককে মারধরের অভিযোগ তুলে গুজব ছড়ানো হয়
তার বাবা ফরিদুল আলমও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,
আমার ছেলে কায়েসকে কেউ মারধর করেনি বা এই ধরণের কোন
ঘটনা ঘটেনি। একটি কুচক্রী মহল বিভ্রান্ত গুজব ছড়াচ্ছে। আমি
এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।